top of page

প্রতিবিম্ব # ৯

  • Writer: Abhijit Chakraborty
    Abhijit Chakraborty
  • Apr 1, 2020
  • 6 min read

Updated: Apr 6, 2020


ree

এই রকম পেশেন্ট এলে রোজকারের একঘেয়েমি জীবন বেশ তরতাজা হয়ে ওঠে। ডাক্তারি শাস্ত্রের নিপুণতা দেখানোর সুযোগ মাঝে মধ্যেই আসে বটে কিন্তু তাঁর সাথে চোখ ঠিকরে দেওয়া সুন্দরী রুগিণী'র কম্বো অফার খুবই দুষ্প্রাপ্য। বহ্নি, সুমন মিত্রের বাগদত্তা। সুমনের সাথে প্রথম আলাপের অপমান টা ভুলে গিয়ে কেসটা নেওয়াটা শাপে বর ই হয়েছে।


চেম্বারটা কেমন এক আকর্ষণীয় গন্ধে ভরে গেল যেদিন প্রথমবার বহ্নি এলো। বিগত দু-সপ্তাহে তিনবার। তিন রকম সাজে। সব পোশাকেই নিজেকে সুন্দর করে তুলে ধরাটা একটা কলাশাস্ত্র। সুমন আমাকে দু-মাস সময় দিয়েছে গোয়েন্দাগিরি শেষ করার জন্য। ব্যাপারটা শুধু কষ্টসাধ্য নয়, একটু দুরূহ। কঠিন অঙ্ক সমাধান করার মধ্যে একটা সুপ্ত নেশা লুকিয়ে থাকে। আর এই কেস তো আরো অনেক নেশার উপাদানে ভরপুর। তাই হয়তো মনটা আজকাল বেশ ফুরফুরে থাকে। পৌষানীর চোখ থেকে আমার এই পরিবর্তন কে এড়ানো সম্ভব হয় নি।


-"কি ব্যাপার? জীবনে নতুন করে বসন্ত এলো নাকি?"

-"কেন তুমি কি কোনো আমার মধ্যে কোনো চেঞ্জ দেখতে পেয়েছ?"

-"আমি কি দেখতে পেয়েছি সেটা ছেড়ে দাও। শুধু একটা কথা বলছি, ছেলে বড় হচ্ছে। এমন কিছু করে বসো না যাতে ছেলের কাছে মুখ দেখাতে তোমার অসুবিধা হয়।"

-"হটাৎ এই রকম কথা বলার কারণ টা কি জানতে পারি?"

-"জীবনে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হটাৎ করেই ঘটে থাকে"।


পৌষানী কি আবার আমার পেছনে কোনো টিকটিকি লাগিয়েছে? খাবার টেবিলে নিঃশব্দে  খেয়ে উঠে যাওয়াটাই এখন অভ্যেস। আজকে এই রকম অন্যথা হবার কারণ টা কি? আপাততঃ কথা বাড়াতে ইচ্ছে করছে না। তাড়াতাড়ি খেয়ে দেয়ে উঠে বুদ্ধির গোড়াতে ধোঁয়া দিয়ে কেসটা নিয়ে একটু ভাবলে কাজ দেবে। কেসটা নিয়ে ভাবাটা উদ্দেশ্য না কি বহ্নি দত্ত কে নিয়ে ভাবতে ভালোলাগা টা?


কলকাতার শীত টা এবার বেশ জাঁকিয়ে পড়েছে। লেপের মধ্যে কোথায় যেন মনের উষ্ণতার ছোঁয়া। ধূসর নীরস জীবনে সবুজের ছোঁয়া। আয়েশ করে সিগারেট টা ধরিয়ে লেপের আদর খেতে খেতে বহ্নি কে চিনতে বেশ ভালো লাগছে।


তিনদিনের প্রাথমিক জেরাতে এমন কোনো তথ্য জোগাড় করতে পারি নি যাতে মনে হয় যে সুমনের সাথে বাকিটা জীবন কাটাতে ও অরাজি। সুমন সম্বন্ধে কোনো অভিযোগ ও নেই। খুবই স্বাভাবিক। বিয়ের গন্ধটা একটু পুরোনো হলেই কোথা থেকে যেন সব অভিযোগ গুলো গুটি গুটি পায়ে বেরিয়ে আসে।


-"ছেলেটা কিন্তু আমাদের দুজনের। দায়িত্ব টা শুধু আমার নয়। "

উফ্ফ, এই শুরু হলো আবার। শুতে যাবার আগের রোজনামচা। অভিযোগের পাঁচিলে মাটি ফেলা। শুনে চুপ করে যাওয়া টা এখন অভ্যেস।পাছে পাঁচিল টা যাতে এত শক্ত না হয় যে আর কখনো ভাঙা গেল না।

-"কেন, আমি কি আমার দায়িত্ব কখনো অস্বীকার করেছি?" - মেজাজ টা বিগড়ে গেল। স্বাভাবিক। সবে ভাবনার জাল টা সাজিয়ে বসেছিলাম। আজ আমিও মাটি ফেলার সঙ্গী হয়ে গেলাম।

-"দায়িত্ব মানে কি সেটা কি তুমি জানো?"

-"সোজা ভাবে কথা বলাটা কি তুমি ভুলে গেছ?"

-"সোজা কথাকে বাঁকা ভাবে নেওয়াটা তোমার এখন অভ্যেস হয়ে গেছে।"

-"আমার তো মনে হয় আমার সাথে তোমার কথা বলতেই কেমন একটা ঘিনঘিনে ভাব তৈরি হয়।"


আমাদের সম্পর্ক টা কোনো প্রকৃত কারণ ছাড়াই কি রকম তেতো হয়ে উঠছে যতদিন যাচ্ছে। মেসোর মতন নিজেকে রাতারাতি পাল্টে ফেল্লে কি সম্পর্কের একটুও উন্নতি সম্ভব? অবচেতন মন বহ্নি দত্তের সরণি ছেড়ে অতীতের পুরোনো ফেলে আসা রাস্তাতে উঠে পড়ল।


মিঠির বিয়ের পর মেসো ও মাসীকে দেখলে মনে হয় যেন নতুন করে জীবন শুরু করেছে। মেসোর মধ্যে হটাৎ করে এই রকম পরিবর্তন চোখে লাগার মতন। চাকরি থেকে অবসর নেবার পর প্রায় সারাদিন বাড়িতেই থাকে। সন্ধেবেলাতে পাড়ার ক্লাবের ক্যারম খেলাতে ও অনীহা। ঠিক কি যেন একটা ভাবনার ঘোরের মধ্যে থাকে। মেসোর এই ভোলবদলে মাসীর চিন্তা আরো দশগুনে বাড়িয়ে দিয়েছে। ওঝা আনার কথাও চাপাস্বরে শুনতে পাওয়া যায় মা-মাসীর মধ্যে। আমি সবে কিছুদিন হলো কলকাতায় নিজের পেট রোজগারের ব্যবস্থা করেছি। দিল্লীতে সোনালি ভবিষ্যতের মসৃন রাস্তা ছেড়ে কলকাতার পিচ ওঠা রাস্তাতে নতুন করে যাত্রা শুরু করেছি। পৌষানীর সরকারি চাকরি আমার থেকে প্রাধান্য বেশি পেয়েছে। দু-বাড়ির থেকেই চাপটা বাড়ছে। সুমন-বহ্নির মতন একটা আধুনিক চিন্তার অভাবটা তখন বোধ করি নি।


মা ও মাসীর কাছে আমার পরিচয় 'পাগলের ডাক্তার'। সাহস করে মেসোর চিকিৎসা করতে চাই - সেটাও বলতে পারছি না। মেসোর মনের ভাবটা বোঝার তাগিদটাও ছাড়তে পারছি না। ভোজবাজির মতন পাল্টে যাওয়া টা স্থায়ী না অস্থায়ী সেটাতেই আমার বেশি ঝোঁক।


রাতের খাবার টেবিলে আজ মায়ের মুখটা বেশ চিন্তামুক্ত বলে মনে হচ্ছে। কিছু জিজ্ঞাসা করার আগেই কারণটা জেনে গেলাম। সামনের রবিবার মা ও মাসীর গুরুদেব আসছেন আমাদের বাড়িতে। দুজনের স্থির বিশ্বাস গুরুদেব এসেই মেসোর এই ভাব-পরিবর্তনের কারণ ওনার দিব্যদৃষ্টিতে দেখতে পাবেন আর তারপর ওনার অদৃশ্য ক্ষমতাবলে সব কিছু আগের মতন করে দেবেন। কথাটা শুনেই কেমন একটা বিপদের গন্ধ পেলাম। কেন পেলাম জানি না।


মাসির এই গুরুদেবের সাথে মেসোর সম্পর্ক টা খুব একটা সুমধুর নয়। মাসি হাজার চেষ্টা করেও একবারের জন্য মেসোকে দিয়ে গুরুদেবকে প্রনাম করাতে পারে নি। রবিবার মেসো আসবে এবং গুরুদেবের সামনে হাঁটু গেড়ে বসবে এটা ঠিক হজম হচ্ছে না। রাতের খাবারটা বেশ বেশি হয়ে গেছে, একটা চোঁয়া ঢেঁকুর উঠলো।


দেখতে দেখতে রবিবার এসে গেল। মিঠি ও অশেষ ও হাজির। পৌষাণীকে ও ডাকা হয়েছে। সকাল থেকে বাড়িতে বেশ হৈচৈ ব্যাপার। রবিবারের সকালের ঘুমের বারোটা বেজে গেছে। গুরুদেবের উপর অকারণে আমারও একটা নিরামিষ আক্রোশ তৈরী হচ্ছে। সমভাবাপন্ন মানুষদের নিয়ে একটা জোট তৈরি করলে বেশ ভালো হয়। আমাকে অবাক করে মিঠিও মা-মাসীদের দলে। অশেষ বেশ নিরপেক্ষতা বজায় রেখেছে বুদ্ধিমানের মতন। বাবার দলবদল করার উপায় নেই। পৌষাণী ও অশেষের দিকে। যাঁর উপর আমার সবচেয়ে বেশি ভরসা সে দেখি ফুলবাবুর মতন সাদা ধুতি-পাঞ্জাবি পরে গুরুদেবের সামনে বাবু হয়ে বসে আছে। ছোটবেলার হিরোর এই রকম পরাজয় মেনে নিতে পারছি না।


কি এমন হলো যে মেসো এই রকম ভাবে পাল্টে গেল। তাহলে এটা স্থায়ীরূপ? মিঠির বিয়ের ইমপ্যাক্টটা এতটা না হলেই ভালো ছিল। আমার ধারণা ছিল, মিঠির বিয়ে হলে মেসো আরো শিকল ছেড়ে বেরিয়ে আসবে।


-"এটা কি হচ্ছে?" নিজেকে আর ধরে রাখতে পারলাম না।

-"কেন কি হয়েছে?" পৌষানীর অবাক করা মুখ দেখে বুঝলাম, আমার মনের ভিতরে চলা কনফিউশন কে সরানোর কাজটা ওকে দিয়ে হবে না। নিজের উপর বিরক্তি টা আরো বাড়তে থাকছে। নাহ, এবার আমাকেই কিছু একটা করতে হবে।

-"তুমি একটু বাইরে আসবে?" - সরাসরি মেসোকে ই এবার ডাকলাম।


মেসো একবার আমার দিকে তাকিয়ে মুখটা ফিরিয়ে নিয়ে আবার গুরুদেবের সাথে কথা চালিয়ে যাচ্ছে। আমার কথাটা যেন শুনতেই পেল না। আমি ভ্যাবলার মতন চুপ করে মিঠির ঘরে ফিরে এলাম। নিজের বিদ্যাবুদ্ধি'র শেষ টুকু উজাড় করে খুঁজে চলেছি মেসোর ভোলবদলের উৎপত্তি-স্থল কে। যে মানুষটা বিগত পনেরো বছর মাসীর হাজার অনুনয়-বিননয়ে ও একটি বারের জন্য গুরুদেবের সামনে যায় নি, সে এবার কিসের টানে নিজেকে সমর্পণ করে দিল? বয়সের সাথে পরকালের সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে অনেকেই ধর্মে কর্মে মন দেয়, মেসোর ও হয়তো সেই স্বাভাবিক নিয়মেই নিজেকে প্রস্তুত করছে। আমি ই অহেতুক ব্যাপারটা নিয়ে মাথাভারী করছি। নিজেকে একটু একটু হালকা লাগছে।


-"দাদা, এক্ষুনি বড় ঘরে চল। বাবার সাথে গুরুদেবের লেগে গেছে। "

- মিঠির অতর্কিত প্রবেশ।

-"লে ছক্কা ।" এটার জন্যই তো এতক্ষণ অপেক্ষা করছিলাম।


গুরুদেবের সামনে থালা বাটি সাজানো খাবার। কিছুটা খাওয়াও হয়েছে বলে মনে হচ্ছে, ভাত ভাঙ্গা দেখে। সাজানো বাটিতে মিষ্টি, দই, পায়েস। আয়োজনে বিন্দুমাত্র ত্রুটি নেই। কিন্তু কোনো এক অজ্ঞাতবসত কারণে , উনি সাজানো খাবার ফেলে উঠে যেতে চাইছেন আর মেসো ওনাকে উঠতে দেবেন না। অভুক্ত ব্রাহ্মণ মানুষের দুপুরবেলায় খাবার ফেলে উঠে যাওয়ার পরিণামের কথা ভেবে মা ও মাসীর আতঙ্কিত আর্তনাদ পরিবেশকে বেশ গুরুগম্ভীর করে তুলেছে।


-"এই ভাবে তো খাওয়া ফেলে আপনি উঠে যেতে পারেন না।" মেসোর সেই গদগদ ভাবটা উবে গেছে এখন।

-"তোমরা জানো না আমি নিরামিষাশী ব্রাহ্মণ?"


পাঁঠার মাংস রান্নার গন্ধ তো সকাল থেকে পাই নি অথচ গুরুদেবের পাতের সামনে এক বাটি মাংস। তারমানে এই মাংস বাইরে থেকে আনা হয়েছে। কিন্তু কে আনতে পারে? মেসো তো সকাল থেকেই একলব্যের মতন গুরুদেবের কাছে নিজেকে সমর্পণ করে রেখেছিল। তারমানে এটা কি জামাই আর শ্বশুরের যুগলবন্দী?


-"হ্যাঁ জানি, কিন্তু কেন যেন মনে হলো আপনি আমার হাত থেকে আজ মাংসের স্বাদ পেতে চান। গুরুর মনের ইচ্ছা পূরণ করার এই রকম সৌভাগ্য তো সবাই পায় না।"

-"ইয়ার্কি মারার একটা সীমা থাকে। মঞ্জু তুমি এই ভাবে অপমান করবে বলে আমাকে ডেকেছ?" - গুরুদেবের গলার স্বর প্রায় খাদে নেমে গেছে।


গুরুদেবের পায়ে জন্টি রোডসের মতন ডাইভ দেবার জন্য মাসী উঠে পড়েছে।  মেসো মাংসের বাটি হাতে তুলে গুরুদেবকে অঞ্জলি দেবে বলে তৈরী। এই রকম একটা নাটক মঞ্চে নামালে গ্রুপ থিয়েটারের লোক গুলোর বউয়ের গয়নাগুলো বোধহয় অক্ষত থাকতো। পরের দশ মিনিটের মধ্যে নাটক টা শেষ হয়ে যাওয়াতে মন টা ঠিক ভরলো না। মেগাসিরিয়াল দেখার অভ্যেস থাকলে হয়তো মেসো হয়তো আরো বেশ কিছুক্ষণ টানতে পারতো। কান্না ভেজা মাসীর চোখ, অভুক্ত ব্রাহ্মণের কাতর অনুনয় মেসো কেও বোধহয় দুর্বল করে দিয়েছিল।


-"আমাকে নিয়ে তোর মনে কি সন্দেহ জেগেছে? " - পেট পুরে দই, মিষ্টি খাইয়ে গুরুদেব কে বিদায় দিয়ে আরাম কেদারা তে আধবোঝা চোখে সিগারেটের সুখটান দিতে দিতে মেসোর প্রশ্নের ঠিক কি উত্তর দেব ভেবে পাচ্ছি না। -"না, ঠিক সন্দেহ নয়। ওই তোমার রেগুলার রুটিনের চেঞ্জ টা ঠিক হজম হচ্ছিল না।"

-"বদ হজমের কোনো অসুধ কি পেলি তাহলে?"

-"তোমাকে বোঝার মতন বিদ্যে তো আমার হয় নি। তাই পেট ব্যাথা টা মনে হচ্ছে সহজে যাবে না।"

-"মানুষকে বুঝতে গেলে তো আগে ওই মানুষটার মতন করে ভাবতে হবে। নিজের ভাবনা দিয়ে অন্য মানুষকে চিনতে গেলে তো জটায়ুর মতন উটের পাকস্থলী হয়ে যায়।"

-"আর হেঁয়ালি না করে তুমি কি একটু ঝেড়ে কাঁশবে?" - বয়সের সাথে ধৈর্য সমানুপাতিক বলে জানতাম। আমার ক্ষেত্রে কি করে যে উল্টো হয়!

-"মিঠির বিয়ের পর তোর মাসী খুব একা হয়ে গেছিল। সারাজীবন তো তোর মাসীকে সে ভাবে সময় দিতে পারি নি। তবে এটা ঠিক তার জন্য কখনো অভিযোগ ও শুনি নি। তাই ভাবলাম নিজেকে একটু অন্যভাবে দেখি।"


জীবনের সায়াহ্নের ভালোবাসার গল্পের স্পর্শে বিকেলটা খুব মায়াবী লাগছিল। খুব ইচ্ছে করছিল ওই ভালোবাসার অন্তরে ঢুকে আরো কিছু মনিমুক্ত খুঁজে নিতে। নিজেকে সামলে নিলাম। নিরুচ্চারিত ভালোবাসার অনুভবকে দিনের আলো না দেখানোর বোধহয় একটা আলাদা রোমান্টিকতা আছে।


-"গুরুদেবকে নিয়ে এই খেলাটা করলে কেন?" - পরিবেশটা হাল্কা করা দরকার।

-"কেন তোর ভালো লাগে নি?"

-"উফ্ফ মেসো! তুমি ভালো করেই জানো আমার কেমন লেগেছে। প্লিজ, বলো না" - সেই ছোটবেলার আব্দারের সুর ।

-"জীবনে আমরা একদম হাসতে ভুলে যাচ্ছি রে। হাসতে গেলেও আজকাল পয়সা লাগে। তাই ভাবলাম তোদের সবাইকে একটু হাসার ব্যবস্থা করি, যদিও পুরো টা ফ্রী তে নয়। অশেষ কে মাংসের পয়সা টা দেবার আছে।" -


আধবোঝা চোখের তলাতে সেই অনেকদিনের চেনা দুস্টুমি। কতদিন বাড়িতে নির্ভেজাল হাসির কলরব ওঠে নি। রোজকারের নিয়ম আর সম্পর্ক মেরামতের জাঁতাকলে হাসতে চাইলেও হাসি পায় না। মেসোর মতন নাটক করার মতন ক্ষমতা আর দুঃসাহস, কোনোটিই নেই। একবার একটু চেষ্টা করে দেখব কি? কাকে দিয়ে শুরু করা যায় - পৌষাণী না কি বহ্নি দত্ত?

Comments


©2020 by Hizibizi Online

bottom of page